আপনি কি নতুন পিসি বিল্ড করতে চাচ্ছেন?

আপনি যদি নতুন পিসি বিল্ড করার চিন্তা করেন, তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য। পিসি বিল্ড করার আগে কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই আপনাকে জানা উচিত। কেননা সবাই চাই বাজেটের ভিতর সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের পিসি বিল্ড করতে। আজকের এই ব্লগটা পড়লে আশাকরি আপনি স্বচ্ছ একটা আইডিয়া পাবেন।




পিসি বিল্ডের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে  কি উদ্দেশ্যে নিয়ে আপনি এই পিসিটি বিল্ড করতে চাচ্ছেন। মানে এই পিসিটি দিয়ে আপনি কোন ধরনের বা কি কাজ করতে চাচ্ছেন। যেমন অনেকে শুধু কর্পোরেট বা অফিসের কাজের জন্য পিসি বিল্ড করে, কেউ শুধু সাধারন ইউজের জন্য নিয়ে থাকেন, কেউ কেউ আবার গেমিং এর জন্য পিসি বিল্ড করে থাকে, অনেকে আবার ওয়ার্কস্টেশনের জন্য,অনেকে আবার গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভারী কাজের জন্য পিসি বিল্ড করে।  সুতরাং এই সকল বিষয় মাথায় রেখেই আপনাকে পিসি কনফিগারেশনের কথা চিন্তা করতে হবে।

একটা পরিপূর্ন পিসি তৈরি করতে যে যেসকল ইউজার কম্পোনেন্ট প্রয়োজন হয় সেগুলা হলোঃ

• প্রসেসরঃ প্রসেসরকে কম্পিউটারের মস্তিস্কের সাথে তুলনা করা হয়। কম্পিউটারের সবচেয়ে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রধান হার্ডওয়্যারে এটি। প্রসেসরকে সি.পি.ইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলা হয়। অর্থাৎ এটি হলো কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ। যা ইউজার ইন্সটকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন বা কার্যাবলি সম্পাদন এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অর্থাৎ আমরা যখন কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বিভিন্ন কমান্ড কম্পিউটারকে দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে মনিটরে প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমাদেরকে দেখায়। যেহেতু যাবতীয় কার্যক্রম প্রসেসরই প্রসেস করে সকল কাজ সম্পাদন ও নিয়ন্ত্রন করে থাকে, তাই আপনাকে সকল দিক বিবেচনা পূর্বক প্রসেসর বাছাই করতে হবে।  আপনার বাজেট বিবেচনা করেও প্রসেসর বাছাই করতে পারেন।

প্রসেসরের গুরুত্বপুর্ণ দিক হলো ক্লক স্পিড, মেগাহার্জ, গিগাহার্জ ও কোরের সংখ্যা ইত্যাদি । মনে রাখতে হবে প্রসেসরের  ক্লক স্পিড, মেগাহার্জ, গিগাহার্জ ও কোরের সংখ্যা যত বেশি হবে প্রসেসর আপনাকে ততবেশি পারফরমেন্স দিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে প্রসেসরের দামও একটু বেশি হবে। আর একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে, যে প্রজন্মের প্রসেসর আপনি বাছাই করবেন সেটার সাথে মিল রেখে একই প্রজন্মের মাদারবোর্ডও আপনাকে বাছাই করতে হবে।

প্রসেসর নির্মাতা অর্গানাইজেশন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো

  • Intel
  • AMD

তবে আমাদের দেশে intel প্রসেসরের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা একটু বেশি।


• মাদারবোর্ডঃ প্রসেসরের পরেই গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হলো মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ড হলো একটি প্রিন্টেড ইলেকট্রনিক্স সার্কিট বোর্ড, যেটি কম্পোনেন্ট যুক্ত। এটিকে কম্পিউটারের মূল ফাউন্ডেশন হিসেবে স্পাপন করা হয়। এটি র‌্যাম, রাইটার, সি.পি.ইউ , প্রসেসর,গ্রাফিক্স কার্ড সহ অন্যান্য হার্ডওয়্যার এর সাথে কমিউনিকেশন বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাদারবোর্ডের কাজ হলো অন্যান্য ডিভাইস নিয়ন্ত্রন করে সিস্টেম চালু রাখা।

মনে রাখতে হবে প্রসেসর আর গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে মিল রেখেই আপনাকে মাদারবোর্ড বাছাই করতে হবে। কেননা অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করলেও ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যাবে না, যদি আপনার চয়েসকৃত মাদারবোর্ডটি লো কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়। তাই  নিম্ন, মধ্য এবং উচ্চস্তর যে বাজেটেই আপনি পিসি বিল্ড করতে চান প্রসেসরের সাথে মিল রেখেই আপনাকে মাদারবোর্ড কিনতে হবে। 


• র‍্যামঃ RAM এর পূর্ণনাম হলো Random Access Memory। এটি হলো কম্পিউটারের অস্থায়ী স্মৃতি। আপনি আপনার কাজের উপর বেজ করে পিসিতে বিভিন্ন সাইজের র‌্যাম লাগাতে পারেন।

বর্তমান ৪ জিবি এর নিচে কোনো র‌্যাম পিসিতে লাগানোর জন্য বাছাই করা ঠিক হবে না। আর গেমিং পিসি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন &  ডেভেলপমেন্ট ও অন্যান্য ভারী কাজের জন্য ৬ জিবি বা তার উপরে র‌্যাম নির্বাচন করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা এটি কম্পিউটারকে হাই স্পিড বা দ্রুত গতি ও সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্যে এনার্জি সরবরাহ করে।