যাদের জীবনে চুল পড়ে যাওয়াটা নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ,তাদের জীবনে চুল পড়া শব্দটা যেন এক বিভীষিকার নাম। নারী কিংবা পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই চুল সৌন্দর্যের একটি অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । কিন্তু আমরা আমাদের ব্যস্তময় জীবন চলার পথে চুলের সঠিক পরিচর্যার অভাবে প্রতিনিয়তই হারাচ্ছি আমাদের চুলকে। কিছু ভুল পদক্ষেপের জন্য আমরা চুল ঝরে পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি । যা ভুক্তভোগী মানুষের জীবনে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকেরে এই লেখাটির মাধ্যমে কীভাবে চুল পড়া রোধ করা যায়, সেসকল বিষয় নিয়ে আলোকপাত করবো।
আমেরিকান
একাডেমি অব ডার্মাটোলজিস্টদের মতানুযায়ী, চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও জীবনকাল অনুযায়ী
প্রতিদিন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ টি চুল পড়ে। তবে এর থেকে যদি অধিক চুল ঝরে তবে তা অস্বাভাবিক
বলে ধরে নেওয়া হয়। আর চুল বেশি পড়ার কারনে আমাদের চুলের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে আমাদের
চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
সাধারণত
চুল পড়ার কারনগুলোর মধ্যে হলো পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব,খুশকি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ বা চিন্তা, বালিশের
কভার অপরিষ্কার থাকা ইত্যাদির কারনে আমাদের চুল ঝরে পড়ে।
এছাড়া
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, বংশগত কারণেও অতিরিক্ত চুল পড়া একটা বড় কারন হতে
পারে,তাছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপ, পার্লারে
ও সেলুন চুলের স্টাইলিং-এ বিভিন্ন প্রসাধনী
বা পণ্য ব্যবহার করলে, মাথায় ত্বকের সংক্রমণ জাতীয় রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারের চিকিৎসা জনিত কারনে, পুষ্টির অভাবে, হরমোনের প্রভাবে, কোনো ওষুধের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও দৈনন্দিন জীবনে কিছু
ভুলের কারণে মাথা থেকে চুল ঝরে পড়ে।
চলুন এখন জেনে নেয়া যাক চুল পড়া চুল পড়া বন্ধ করতে বা রোধে
করনীয় কীঃ-
অ্যালোভেরা
জেল ভালো করে ব্লেন্ড করে চুলে ৪০-৫০ মিনিট মতো অথবা ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমানো ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করবে। মাইল্ড শ্যাম্পু
হলো সালফেট এর মত কঠোর উপাদান বিহীন এক ধরনের শ্যাম্পু । এটা প্রাকৃতিক বা জৈবিক হয়ে
থাকে । যেমন ইয়েস টু ক্যারট , জিওভান্নি ইত্যাদি।
আপকামিং
0 Comments