ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। একজন রোগী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তখনই, যখন ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার পরও রোগ দেরিতে বুঝতে বা ধরতে পারেন। তাই এ কারণেই কিছু লক্ষণ টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস টেস্ট করানো খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে লিভার, চোখ, কিডনি, ত্বক নষ্ট হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়। এছাড়াও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেছেন, ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীর অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সবার জন্য অতীব জরুরি।
প্রতি
বছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ মরন ব্যাধিতে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে ডায়াবেটিসের কারনে।
ডায়াবেটিসের
সাধারণত কয়েকটি লক্ষণ কমবেশি সবাই জানলেও তা এড়িয়ে যান।
ডায়াবেটিস হলে অত্যধিক ক্ষুধা, ক্লান্তি,
ঘন ঘন প্রস্রাব এবং
মেজাজ খিটখিটে হয়।
ডায়াবেটিসের যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেনঃ-
- ঘন ঘন প্রস্রাব ও পিপাসা লাগা।
- শরীর দুর্বল লাগা বা মাথা ঘোরা ঘোরা ভাব আসা।
- ক্ষুধা অনেক বেড়ে যাওয়া।
- সময়মতো না খেলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হয়ে যাওয়া ।
- মিষ্টিজাতীয় জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা বেড়ে যাওয়া।
- শরীরের ওজন অনেক কমে যাওয়া।
- চামড়া শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব হওয়া।
- বিরক্তি লাগা ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- অবসাদগ্রস্ত ও ক্লান্তি ভাব ও চোখে কম দেখতে শুরু করা।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ও ইনফেকশন সমস্যায় পড়া ঘন ঘন।
ঘন ঘন প্রস্রাব ও পিপাসা লাগাঃ-
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম প্রধান লক্ষণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে এটি বের করে দিতে চায়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। আবার এ সময়টাতে পানির পিপাসাও বেড়ে যায়। কেননা ঘন প্রসাবের ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, এজন্য পানির পিপাসাও বেড়ে যায়।
0 Comments