গ্যাসের সমস্যায় ভোগে না পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল।  বেশি কিংবা কম সবাইকেই এই সমস্যায় ভূগতে হয়। খাবারে যখন আমাদের সামান্য একটু অনিয়ম বা ঊনিশ বিশ হলেই শুরু হয়ে যায় গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক ব্যথা।




একবারে পেট ভরে খাবার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন । পাকস্থলি পুরো ভরে না খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা,পাকস্থলি তিন ভাগের এক ভাগ খাবার দিয়ে পূর্ণ করা, বাকি দুইভাগের এক ভাগে থাকবে পানি এবং আর একভাগ থাকবে খালি । এই নিয়মটি আমরা যদি মেনে চলার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা কিন্তু এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এছাড়াও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একসাথে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে, অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার,তেল বা ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত ঝালজাতীয় খাবার এছাড়াও আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দুধ খেলে দেখা যায় গ্যাসের বা এসিডিটি  সমস্যা।


খাবার খাওয়া শেষে সাথে সাথে শুয়ে বা বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটা বা চলাফেরা করুন। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। আমরা বাঙালীরা একটু বেশি আরামপ্রিয়। তাই বেশিরভাগ সময়ই আমরা যে ভুলটা করি সেটি হলো, খেয়েই শুয়ে পড়ি। এত করে গ্যাস্ট্রিক আমাদেরকে ভালোবেসে তার কাছে টেনে নেয়। ফলশ্রুতিতে আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার উপায়। 

আসুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে এমন ১০টি খাবারের নামঃ


শসাঃ পেট ঠান্ডা রাখতে খাদ্য তালিকায় শসা খুবই কার্যকরি একটি খাবার।  শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির মতো উপাদান যা পেটের গ্যাসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে অনেক দিনের বা পুরোনো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কলাঃ কলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম কমাতে সাহায্য করে। কলা খেলে পেট থেকে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। কলায় স্যালুবল ফাইবার নামক একটা উপাদান আছে যেটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। দিনে যদি অন্তত ২টা কলা খাওয়া ভালো। কেননা এটি আপনার পেট পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পানঃ পানি পানের উপকারিতা আমরা সবাই কম বেশি জানি।  খালি পেটে প্রতিদিন সকালে দুই গ্লাস করে পানি পান করুন, এতে করে দেখবেন আপনাকে আর গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবেনা। কেননা পানি আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর। এছাড়াও পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।