ব্রণের সুনির্দিষ্ট যে কারণ এটা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সুনিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় যে, হজমের গোলমাল,বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য নানাবিধ সমস্যার কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়। আবার অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে, ব্রনের অনেকগূলো কারণের   মধ্যে বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। পাশাপাশি জমা হয় লোমের গোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্হিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে, যা ব্লাক হেড বাহোয়াইট হেডহিসেবে দেখা দিয়ে থাকে। আর এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেড়ে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে।




ব্রনের প্রকারভেদ:

  • ট্রপিক্যাল একনি: অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা অধিক হলে পিঠে উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে।
  • প্রিমিন্সট্রুয়াল একনিকোনো কোনো মহিলার মাসিকের সপ্তাহ খানিক আগে -১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়।
  • একনি কসমেটিকাকোনো কোনো প্রসাধনী/কসমেটিকস সামগ্রী লাগাতার ব্যবহারের ফলে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে এবং লালচে ভাব দেখা দিয়ে থাকে।
  • .একনি ডিটারজিনেকসমুখ অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ( দৈনিক / বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
  • .স্টেরয়েড একনিস্টেরয়েড ঔষধ (Medicine) সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমনবেটনোভেট ডার্মোভেট জাতীয় ঔষধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায়। যেসব ক্রিমে তৈলাক্ত উপাদান থাকে যাদের মুখে বেশি ব্রণ হয় তাদের সেসব ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে ক্রিম যদি তৈলাক্ত হয় তবে তা ব্রণ রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।