হঠাৎ করে ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে বা ধরে পড়লে রোগীর মন অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়,রোগী হতাশ হয়ে পড়ে এবং দিন দিন রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। তাই এই রোগ ধরা পড়লে দেরি না করে একজন ডায়াবেটোলজিস্ট-এর মতানুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাদ্য তালিকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে যেসব খাবার সেগুলো খাবার তালিকায় রাখা উচিত।  সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি গড়ে তোলা যায়, তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা ছোট করার দরকার হয়না। বরং যদি রোগী চায় তাহলে পেট ভরে খেতে পারেন। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি সহ অনেক ফল খাওয়া নিষেধ। ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অন্যান্য জটিলতার পরিমান কমিয়ে আনা।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিমান মতো সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমে যায়। আজকে আমরা মূলত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসকল খাবার গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে তা নিয়ে কথা বলবো। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সহজেই এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই রোগটার জন্য শুধুমাত্র ওষুধ খাওয়াই যথেষ্ট নয়। শুরু থেকেই যদি খাদ্যঅভ্যাসে পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে ডায়াবেটিস এর মতো এই কঠিন রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

যেমনঃ- পালংশাক, পাতাকপি, গাজর, শালগম, ঢেঁড়স, শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মটরশুঁটি ও লেটুসপাতা ইত্যাদিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সম্ভব হলে কাঁচা কিংবা সিদ্ধ সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আমাদের কী খাবার গ্রহন করা উচিতঃ

ডিমের সাদা অংশঃ- ডিম আমাদের পেশী গঠন করতে সাহায্য করে। কেননা ডিমের সাদা অংশে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন  এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের দুই ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

শসাঃ- শশাতে পানির পরিমান বেশি থাকে। ফলে এটি শরীরকে আদ্র বা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

সবুজ শাকসবজিঃ  সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরের  ২ ধরনের ডায়াবেটিস-এর ঝুঁকি হ্রাস করে বা কমায়। বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি যেমনঃ ফুলকপি, বাঁধাকপি,পালং শাক, পাতা কপি, শালগম,  লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারগুলোতে কার্বোহাইড্রেটের এবং ক্যালরি পরিমাণ কম থাকে। গবেষণায়ে এটা বলা হয় যে, সবুজ শাক সবজি শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমায়।

টক দই ও চিড়াঃ  ফ্যাট মুক্ত ও ক্যালসিয়াম যুক্ত টক দই দিয়ে খাদ্যআঁশ যুক্ত চিড়া দিয়ে সকালের নাস্তা যদি করা যায়, তাহলে আমাদের শরীরে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে আরো ভালো হয় যদি আপনি এর সঙ্গে একটি সিদ্ধ ডিম এবং এক কাপ গ্রিন টি-ই খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।